প্রধান উপদেষ্টা বলেন, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি জুলাই অভ্যুত্থান ও চলমান রাষ্ট্র সংস্কারে সেনাবাহিনী জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থার প্রতি সম্মান জানিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ‘নির্বিঘ্ন ও উৎসবমুখর করতে’ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।

শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সশস্ত্রবাহিনী দিবস উপলক্ষে রাজধানীর সেনাকুঞ্জে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমরা শিগগিরই একটি নির্বাচনের দিকে যাচ্ছি। এই নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা নতুন বাংলাদেশের পথে যাত্রা করব- সেটিই আমাদের স্বপ্ন। এই নির্বাচন যেন সুন্দর, আনন্দমুখর ও উৎসবমুখর হয় সেটার জন্য আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করব।

মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি দেশগঠন ও জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলায় সশস্ত্র বাহিনী সর্বদাই জনগণের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছে। ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ও চলমান দেশ পুনর্গঠন এবং সংস্কারের কাজেও সশস্ত্র বাহিনী বরাবরের মতোই মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে দেশের মানুষের আস্থার প্রতিদান দিচ্ছে। তিনি বিশ্বাস প্রকাশ করেন যে গণতান্ত্রিক ও নিয়মতান্ত্রিক নেতৃত্বের প্রতি অনুগত বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী পেশাগত দক্ষতা ও দেশপ্রেমের সমন্বয়ে ত্যাগ ও তৎপরতার এই ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ণ রাখবে।

সশস্ত্র বাহিনী দিবসের দিনব্যাপী কর্মসূচিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধে আহত ও শহীদদের পরিবারের সদস্য, সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ও তাদেরে পরিবারের সদস্য, কূটনীতিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও গত বছর অভ্যুত্থানের শহীদদের পরিবার ও আহতদের পরিবারের সদস্যরা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন।

গতবছরের মত এবারও সেনাকুঞ্জের এই আয়োজনে যোগ দেন বিএনপির চেয়ারাপারসন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।